বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজে’লার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরের আল আমিন (২৮) দুর্গম চরে স্ত্রীর কাছ থেকে অ’সুস্থ মে’য়েকে কেড়ে নিয়ে হ’ত্যা করে । এরপর গ’লায় ওড়না পেচিয়ে স্ত্রী’কেও হ’ত্যা করে এই পা’ষ’ণ্ড যুবক।
রি’মান্ডে পু’লিশের কাছে এমন চাঞ্চাল্যকর স্বী’কারোক্তি দিয়ে তিনি বলেন ছয় বছরের শি’শু রুমানা খাতুন ও স্ত্রী শেফালী বেগমকে (২৪) হ’ত্যা করে।
এর মধ্য দিয়ে দুর্গম চরে জোড়া খু’নের র’হস্য উন্মোচিত হয়েছে।
পাঁচ দিনের রি’মান্ডের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার রাতে আল আমিন বগুড়ার সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট ওমর ফারুকের আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূ’লক জবানব’ন্দি দেয়।
শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো পু’লিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
পু’লিশ জানায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজে’লার বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরের আল আমিন প্রায় আট বছর আগে প্রেমের সম্প’র্কে শেফালী বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে ছয় বছর ব’য়সী শি’শু রুমানা খাতুন ছিল। আল-আমিন চরে মোটরবাইকে যাত্রী পরিবহণ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
তবে সে তার আয়ের কোন অংশ সংসারে দিত না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য ক’লহ দেখা দেয়। শেফালী বেগম তার অ’সুস্থ শি’শু রুমানাকে চিকিৎসা দিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে পার্শ্ববর্তী ধারাবর্ষা চরে সাত্তার মেম্বরের গুচ্ছগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বিকালে পথিমধ্যে শংকরপুর চরে রাস্তার পাশে একটা ভুট্টাক্ষেতে মা ও মে’য়ের লা’শ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক ত’দন্তে এ জোড়া খু’নের স’ঙ্গে উ’গ্র মেজাজ ও মা’দকসেবী আল আমিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। গত ২০ মার্চ বগুড়া শহরের সাবগ্রাম থেকে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়। হ’ত্যার দায় স্বীকার না করায় পরদিন তাকে আ’দালতে হাজির করে পাঁচদিনের রি’মান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
জি’জ্ঞাসাবাদের চতুর্থদিন বৃহস্পতিবার তিনি (আল আমিন) স্ত্রী ও মে’য়েকে হ’ত্যার কথা স্বীকার করে। বিকালে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জু’ডিশিয়াল ম্যা’জিস্ট্রেট ওমর ফারুকের আ’দালতে হাজির করা হয়। রাতে তিনি হ’ত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূ’লক জবানব’ন্দি দেয়।
স্বী’কারোক্তিতে আল আমিন আ’দালতকে জানায়, সংসারে অভাবসহ নানা কারণে স্ত্রী শেফালী বেগমের স’ঙ্গে তার দাম্পত্য ক’লহ শুরু হয়। শেফালী অ’সুস্থ মে’য়ে রুমানাকে চিকিৎসা দিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় সে তাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে।
গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে পৌঁছালে আল আমিন তাদের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে সে মে’য়ে রুমানাকে ছি’নিয়ে নিয়ে গ’লা টি’পে হ’ত্যা করেন। তখন শেফালী চি’ৎকার করে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধা’ওয়া করে ধরা হয়। এরপর ওড়না দিয়ে গ’লায় ফাঁ’স দিয়ে তাকেও হ’ত্যা করা হয়। হ’ত্যার পর আল আমিন লা’শ ফে’লে বাড়িতে চলে আসে।
সে আত্মীয়-স্বজনদের স’ঙ্গে মে’য়ে ও স্ত্রী’কে খুঁজতে যায়। ওইদিন রাতে পু’লিশ লা’শ দুটি উ’দ্ধার করে। পরদিন শেফালীর বাবা ওসমান মন্ডল সারিয়াকান্দি থানায় অ’জ্ঞাত আ’সামিদের বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা করেন।