গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যৌ*aন উ’ত্তেজনায় জোড় করে স্ত্রী ব্রা খুললেই স্বা’মী হওয়া যায় না। আমরা স্বা’মীর দাবি নিয়ে ব্রা খুলতে শিখেছি।
কিন্তু কখনো কি স্ত্রী’কে বলেছি, আজ তোমার শ’রীরটা কেমন? সারা দিন প্রচুর খাটাখাটনি হয়েছে তাই না? আজ তোমার শ’রীরটা একটু টি’পে দেই? শ’রীর ব্যর্থা কমে যাবে!
যখনই যৌ*aন উ’ত্তেজনা উঠে, তখনই মনে পড়ে, আমার তো একটা স্ত্রী আছে! এর আগে কখনো স্ত্রী নামক মানুষটা কথা মনে পড়েছে?
অফিসে কাজের নামে অন্যের স্ত্রী সাথে কর্পোরেট ঘষাঘষি করি। কখনো কি মনে পড়ে কেউ একজন দিন শেষে বেলকুনির গ্রিল ধরে পথ চেয়ে আছে আমার অপেক্ষায়। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত শ’রীরলে, মেজাজ গরমে স্ত্রী’কে বলি দু’ধ চিনি ভাল করে দিয়ে, তারাতারি এক কাপ চা দাও!
তখন একবারের জন্য কি মনে হয় না, এই মানুষটাও তো সারাদিন আমার মতো কামলা দিয়েছে, তার আমার মধ্যে পার্থক্য, সে ঘরে দিয়েছে আর আপনি বাহিরে দিয়েছেন!
রাতে ঘুমের ভ্যান ধরে কম্বলের নিচে মেসেঞ্জারে ডিজিটাল প’রকীয়া করার সময়, ঘুমন্ত স্ত্রী কথা একবারও মনে পরেনা, আপনি তার বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা ন’ষ্ট করে তাকে ঠকাচ্ছেন?
বাকি রইলো বিয়ে! দেনমোহর আর কবুল বলেই স্বা’মী হওয়া যায় না। স্বা’মী একটি অন্ধ বিশ্বাস, ভরসাময় অস্থা।
শুধু যৌ*aনতায়ই স্ত্রী সু’খ না, ভালবাসায়ই স্ত্রী অফুরন্ত সু’খ, শান্তি।
অতৃ’প্তির কারনে ক’নডমবিহীন স’ঙ্গ’ম করেন। কখন কি বলেছেন আচ্ছা তোমার প্রতিদিন একই ট্যাবলেট খেতে ভাল লাগে? আজ থেকে বেশ কিছু দিন স’ঙ্গ’ম বন্ধ রাখবো, তুমি আর এই ট্যাবলেট খেও না প্লিজ! তোমার ক’ষ্ট আমার সহ্য হয় না!
স্ত্রী মানেই রোবট না, স্ত্রীও আপনার মতো র’ক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ। তাকে বুঝোন, বোঝার চেষ্ঠা করুন, বোঝা উচিৎ। স্ত্রী আপনার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি তাকে ভালবাসাটাও আপনার মহা দায়িত্ব!
আমরা স্ত্রী যৌ*aন উ’ত্তেজনা বাড়াতে শিখেছে! কখনো কি তাকে জিজ্ঞাস করেছে, মাসের প্রথমে অথবা শেষ তার শ’রীর থেকে যেই বি’ষাক্ত র’ক্তপাত হয়, তা কতটা ক’ষ্টের ও যন্ত্রনাদায়ক? যৌ*aনতায় ভালবাসা থাকেনা, ভালবাসা থাকে গভীর রাতে যৌ*aন মি’লন না করে স্ত্রী’কে বুকে জড়িয়ে নিজের হৃদপিন্ডে ঢুকেয়ে তার ক’ষ্টের কথা গুলো শুনার মাঝে, তাকে শান্তনার মাঝে।
ঠোটে চু’ম্বন করে যৌ*aন উ’ত্তেজনা করতে শিখেছি! কখন কি বাসার থেকে বাহির হওয়ার বা ফেরার পর স্ত্রী কপালে চু’ম্বন করে বলেছি এই নেও তোমার সারাদিনে আদর।
স্ত্রী যো’নীতে দুই ফোঁটা বীর্জ দিলেই স’ন্তান আপনার দাবী করা যায় না। স’ন্তান প্রস্রব চলাকালীন ঘন্টার পর ঘন্টা যন্ত্রনাদায়ক সেটা উপলব্ধি করতে মাত্র দুই মিনিট মরিচের গুড়া আপনার লি*ঙ্গে লাগিয়ে দেখু’ন স’ন্তান প্রসব কতটা ক’ষ্টদায়ক।
দশমাস নয়, মাত্র দশদিন, দশ কেজি ওজনের একটি পাথর আপনার পেটে বেধে দেওয়া হবে। তা নিয়ে এই দশদিন আপনি সমস্ত কাজ করতে পারলেই আপনার সন্ত্রান সেটা স্বীকৃতি পাবেন।
স্ত্রী কে ভোগ করতে না ভালোবাসতে শিখু’ন।
বুঝতে শিখু’ন যে সে কি চায়।
লেখাটা পড়ার পর অনেকে খা’রাপ লাগবে কিন্তু
এটাই বাস্তব তাই একটু প্লিজ নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন
সবাই শেয়ার করুন