রাজধানীতে মহাখালীতে প্রেস লেখা একটি স্কুটারে সড়ক দু’র্ঘ’টনায় গভীর রাতে নি’হত হয়েছিলেন দুই বান্ধবী কচি ও সোনিয়া। তবে এই দুই না’রীকে নিয়ে র’হস্যের জাল যেন বেড়েই চলেছে।
ত’দন্ত করতে গিয়ে দুজন না’রীকে দেখা গেছে অ’নৈতিক কাজে শামিল হতে। তাদের মোবাইল নাম্বারের সূত্রে জানা যায়, তারা টাকার বিনিময়ে অ’নৈতিক কাজে লি’প্ত ছিল। তবে ট্রাফিক থেকে মু’ক্তি পেতেই তারা স্কুটারে প্রেস লেখা ঝু’লিয়ে ছিল। বনানী থা’না পু’লিশ সূত্রে জানা যায়, কচি ও সোনিয়া একইস’ঙ্গে থাকতেন এবং একইস’ঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন।
বিভিন্ন লোকজনের স’ঙ্গে মেলামেশা ছিল তাদের। তাদের মোবাইল ফোন কলের সূত্র ধরে কিছু নাম্বারে কল করলে এ ত’থ্য মেলে। সোনিয়ার নম্বর থেকে একটি নম্বর নিয়ে কল করলে, ওপাশ থেকে আনিস নামে এক যুবক বলেন, ওইদিন সোনিয়া সকাল ১১টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত তার স’ঙ্গে ছিলেন।তারা মোটরসাইকেলে ঘুরেছেন,
খাওয়া দাওয়া করেছেন। একটি বাসায় অ’ন্তরঙ্গ মুহূর্ত কা’টিয়েছেন বলে জানান ওই যুবক। কতদিনের পরিচয় জানতে চাইলে ওই যুবক জানিয়েছেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি নম্বর পান, ওইদিনই তাকে ফোন করেছেন এবং একদিনই ঘুরেছেন। বিনিময়ে তিনি এক হাজার ২০০ টাকা দিয়েছেন। আর কচির বি’ষয়টি জানতেন না বলেও জানান ওই যুবক।
কচির মামা নুরুল আমিন জানান, কচি কী করতেন তা আমি জানতাম না। মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হতো। টেলিভিশনে ম’রদে’হের ছবি দেখে কচিকে চিনতে পারি, এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ম’র্গে গিয়ে ম’রদে’হ শ’নাক্ত করি। শুনেছিলাম, মিরপুর শাহ আলী এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে দুই বান্ধবী থাকত।
তারা দুজন একইস’ঙ্গে চলাফেরা করত একইস’ঙ্গে থাকত। সোনিয়ার বড়ভাই রুবেল বলেন, সোনিয়া ঢাকায় চাকরি করার কথা বলেছিল আমাকে। এরপর বিউটি পার্লারে কাজের কথাও একসময় জানিয়েছিল। বিয়ে হয়েছিল তিন মাসের মাথায় তালাক হয়ে যায়। এরপর আর বিয়ে করেননি সোনিয়া।পু’লিশ জানায়, সৈয়দা কচির (৩৮)
বাড়ি কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর পৌরসভার পাচুলিয়া বাজিতপুর এলাকার সৈয়দ ফজলুল হকের মে’য়ে। নি’হত আরেকজন সোনিয়া আক্তারের (৩২) বাড়ি ভোলা সদর উপজে’লায়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১টার দিকে মহাখালী সেতু ভবনের সামনের সড়কে দুই না’রীকে পড়ে থাকতে দেখে পু’লিশে খবর দেয় পথচারীরা। পরে তাদের উ’দ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে দুজনকেই মৃ’ত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।