ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় মরক্কোর টানজিয়া শহরের একটি অবৈধ টেক্সটাইল কারখানায় অন্তত ২৪ জন নি’হত হয়েছেন।টাঙ্গিয়ার শহরে একটি আবাসিক বাড়ির নিচে থাকা অবৈধ টেক্সটাইল কারখানায় আকস্মিক বন্যার পানি ঢুকলে এ হ’তাহতের ঘ’টনা ঘটে।
খবর পেয়েই উ’দ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উ’দ্ধারকারীরা ঘ’টনাস্থল থেকে ২৪ জনের ম’রদে’হ উ’দ্ধার করেছেন। এছাড়া ১০ জনকে জীবিত উ’দ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কতকয়েদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দেয়ায় ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এমএপি জানায়, কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই বাড়িতে হঠাৎ বন্যার পানি ঢুকে পড়ে, এতে ডুবে মা’রা যান কমপক্ষে ২৪ জন।
এ ঘ’টনার সময় বাড়িটিতে কতজন লোক ছিলেন তা জানা যায়নি। এটি কিভাবে ঘটলো খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মরক্কোতে ২০১৪ সালে বন্যায় অর্ধশত মানুষ প্রা’ণ হা’রান।
‘পুরু’ষত্ব সং’কটে’ চীন, ছেলেদের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব বাড়ছে
চীনে স্কুলগামী ছেলেদের একটি বড় অংশ ‘মে’য়েলি’ স্বভাবের হয়ে উঠেছে বলে ধারনা করছে দেশটির শিক্ষা ম’ন্ত্রণালয়। তাই তাদের ‘পুরু’ষত্ব’ ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ।
এ জন্য ছেলে শি’শুদের জন্য শ’রীরচর্চা ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির শিক্ষা ম’ন্ত্রণালয়। স্কুলগুলোতে আরো ক্রীড়া প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ’রীরচর্চা ক্লাসগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর সুপারিশও করা হয়েছে।
চীনের টুইটার খ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে গত সপ্তাহে এমন একটি পরিকল্পনা প্রকাশিত হলে এর পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ নিয়ে একটি হ্যাশট্যাগ ১৫০ কোটিবার দেখেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। এদিকে চীনা শিক্ষাবিদরা একে ‘পুরু’ষত্বের সং’কট’ বলে অবহিত করেছে।
গত বছরের মে মাসে চীনের পিপলস কনসালটেটিভ কনফারেন্সের স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ প্রতিনিধি শি জেফু ‘পুরু’ষ স’ন্তানদের মে’য়েলিভাব মো’কাবিলা’ শীর্ষক প্রস্তাবনা দেন। তার ও’পর ভিত্তি করেই সাম্প্রতিক সময়ে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে শিক্ষা ম’ন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক সময়ে স’শস্ত্র বাহিনীকে শ’ক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। তবে এ জন্য এক স’ন্তাননীতির আওতায় জ’ন্ম নেওয়া ছেলে শি’শুদের দু’র্বল মনোভাব এবং মে’য়েলি স্বভাবের বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে টেলিভিশন সম্প্রচারে পুরু’ষ পপতারকাদের কান ফোঁড়ানোও ঝাপসা করে দেখানো হয়। রূপচর্চা সচেতন অনেক অভিনেতাকে ‘লিটল ফ্রেশ মিট’ মতো অ’পমানজনক সম্বোধ’ন করা হয় জনসাধারণের আলোচনায়।
অনেক অভিভাবক এই ধারণার বশবর্তী হয়ে সা’মরিক প্রশিক্ষণের আদলে গড়ে ওঠা শ’রীরচর্চা কেন্দ্রে ছেলে শি’শুদের পাঠাচ্ছেন। এতে স’ন্তানেরা ‘প্রকৃত পুরু’ষ’ হতে পারবে বলেই বিশ্বাস তাদের।
শি জেফু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘স্কুলে না’রী শিক্ষকদের প্রাধান্য এবং পপ কালচারের ‘সুন্দর বালক’ হয়ে ওঠার জনপ্রিয়তা থেকে পুরু’ষ শি’শুরা ‘দু’র্বল আর নম্র’ স্বভাবের হয়ে ওঠছে। ছেলে শি’শুরা আর যু’দ্ধক্ষেত্রের নায়ক হতে চায় না। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা হু’মকির মুখে পড়বে বলেও মনে করেন তিনি