‘ভাইরাল’ শব্দটি ইন্টারনেট দুনিয়ার বহুল ব্যবহৃত । সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য জনপ্রিয় প্লাটফর্মে ‘ভাইরাল’ বি’ষয়টি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ভাইরাল বলতে বিপুল পরিমাণ ভিউ ও শেয়ার হওয়া কোনো ছবি, ভিডিও বা কনটেন্টকে বোঝায়। কোন বি’ষয়টিকে ভাইরাল বলা হবে, তার কিছু নিয়ম রয়েছে।
ইউটিউব বিশ্লেষক কেভিন নাল্টির বক্তব্য দিয়ে উইকিপিডিয়ায় বলা হয়, কোনো ভিডিও যদি এক লাখের বেশি ভিউ হত তাহলে তাকে ভাইরাল বলা হত। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে এক লাখ ভিউ হলে আর ভাইরাল বলা হয় না। ২০১১ সালের পরবর্তী সময়ে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ৫০ লাখ ভিউ হলে সেটিকে ভাইরাল বলা হয়।
গেল বছর সামাজিকমাধ্যমে নানা বি’ষয় ভাইরাল হয়। বাংলাদেশে তুমুল শেয়ার ও ভিউ হয় দুই জুটির ছবি। এর মধ্যে একটি ছিল শ্রীলঙ্কান এক তরুণ-তরুণী জুটির বিয়ের ছবি।
দেশটির থিকসানা ফটোগ্রাফি নামের একটি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির ফেসবুক পেইজে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ক্রমশ সেগুলো ছড়াতে থাকে। ওয়েব দুনিয়ার সীমানা পেরিয়ে দেশীয় হোমপেইজ দ’খল করে নেয়।
আরেক ভাইরাল জুটি ছিলো বাংলাদেশি। বছরের শেষ দিকে এসে ভাইরাল হয় বাংলাদেশি-আমেরিকান টম ইমাম ও মিষ্টি ইমাম নামের দম্পতির বিবাহবার্ষিকীর ছবি। স্বা’মীর সাথে স্ত্রীর ব’য়সের পার্থক্য কিছুটা বেশি হওয়ায় তাদের নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল।
কিন্তু সাহসিকতার স’ঙ্গে নিজের ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে প্র’তিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে টম ইমাম বলেছিলেন, স্ত্রীর স’ঙ্গে আমার তোলা বেশ কিছু ছবি আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ে অনেকেই ভাইরাল করছেন। অনেকে খা’রাপ মন্তব্যও করেছেন। এগুলো কি আপনাদের ঠিক হলো?
ফেসবুকে তিনি আরও লিখেছিলেন, আমি আমার স্ত্রী’কে এবং সেও আমাকে ভালোবাসে। ভালোবাসার কোনো ব’য়স নেই। দয়া করে আমি যেমন আপনার পরিবারকে শ্রদ্ধা করি, তেমনি আপনিও আমাদের শ্রদ্ধা করুন।
জানা যায়, টম ইমাম এর আগে এক আমেরিকান না’রীকে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রী প্রায় ১০ বছর ধরে অ’সুস্থ থাকার পর ২০১১ সালে মা’রা যান। প্রায় ১০ বছর স’ন্তানদের কথা চিন্তা করে তিনি বিয়ে করেননি। এরপর ২০১৯ সালে টম ইমাম এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিয়ে করেন।
টম ইমাম ও স্ত্রী মিষ্টি ইমাম দুজনই বাংলাদেশি। টম বাংলাদেশেই শিক্ষা জীবন শেষ করে আমেরিকা পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সেখানকার নাগরিক এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। টম ইমাম এইচএসসি পাস করেন পটুয়াখালী জুবেলী হাইস্কুল থেকে। এরপর ১৯৭৮-১৯৮২ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন তিনি।