৩ স’ন্তানের বাবা – সপ্তাহখানেক আগে নি’খোঁজ হন জাকির হোসেন। হঠাৎ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শাড়ি-ব্লাউজ পরে বাড়িতে ফেরেন। আর স্বা’মীকে এমন পোষাকে দেখে হতভম্ব হন স্ত্রী।
শাড়ি-ব্লাউজ পরার কারণ জানতে চাইলে স্ত্রী’কে জাকির হোসেন বলেন, আমাকে আর আগের মতো পাবা না। আমি এখন অন্য পথের মানুষ। সপ্তাহে দুদিন এক হাজার টাকা করে কমিশন পাব।
জাকির হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজে’লার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি একটি মুদি দোকানও চালাতেন। তার ছোট তিন স’ন্তান রয়েছে।
সম্প্রতি কমিশনের আশায় পু’রুষাঙ্গ কে’টে জাকির হোসেন হয়েছেন হিজড়া। স্বা’মীর এমন কাণ্ডে প্র’তিবাদ করতে গিয়ে মা’রধরের শি’কার হয়েছেন স্ত্রী। কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি লোকলজ্জা ও মান-সম্মানের ভ’য়ে কাউকে কিছুই বলতে পারছি না।
আমার স্বা’মী নিজের লি*ঙ্গ কে’টে হয়েছেন হিজড়া। কমিশনের প্রলোভনে কথিত হিজড়ারা গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। প্র’তিবাদ করায় দা উঁচিয়ে চুলের মুঠি ধরে প্রা’ণনা’শের হু’মকি দিচ্ছেন স্বা’মী। আমি এ ঘ’টনার বিচার দাবি করে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগও করেছি।
জাকিরের স্ত্রী বলেন, নি’খোঁজের এক সপ্তাহ পর আমার স্বা’মী মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। এ সময় ব্যতিক্রম পোশাক পরা দেখে কারণ জানতে চাইলে তিনি হিজড়া হওয়ার বি’ষয়টি জানান।
এ কথা শুনে হতভম্ব হয়ে এর প্র’তিবাদ করলে তাকে মা’রধর করে বাড়ি থেকে চলে যান জাকির। পরদিন সকালে ফের বাড়িতে এসে শাড়ি পরেন, কান ও নাক ফোঁড়ানো। তখন পরিবারের লোকজন ক্ষি’প্ত হয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে দা নিয়ে আ’ক্রমণ শুরু করেন। কর্মক্ষম ও সুস্থ সবল ব্যক্তিটি প্রলোভনে পড়ে এমন হওয়ায় পরিবারে হতাশা দেখা দিয়েছে বলেও জানান জাকিরের স্ত্রী।
জাকিরের ছোট ভাই বলেন, নেত্রকোনার হিজড়া সরদারনি সাগরিকা আমার ভাইকে হিজড়া বানিয়েছেন। এছাড়া কেন্দুয়া ও স্থানীয় আঠারোবাড়ি এলাকার অনেকে হিজড়া হয়েছে। আমি এ ঘ’টনায় জ’ড়িত হিজড়াদের বিচার চাই।
স্বা’মীর এমন কাণ্ডে ক্ষু’ব্ধ স্ত্রী বলেন, আমি