২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে শিক্ষা বোর্ড আইন সংশোধ’নের প্রস্তাব সং’সদ পাস হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সং’সদে এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব পেশ করলে সকল সং’সদ সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে এটি পাশ হয়।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ১ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প’র্কিত সং’সদীয় স্থায়ী কমিটিতে শিক্ষা বোর্ড আইন এবং দুই দিনের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ড আইন প্রেরণ করা হোক।
পরে সকল সং’সদ সদস্যরা এটি হ্যাঁ বলে সম্মতি দিলে এ এটি পাশ হয়।
৩২ বছর ধরে প্রতিদিন সাবান খেয়ে যাচ্ছেন আবদুল করিম! (ভিডিও)
আপনার পছন্দের খাবারের তালিকায় নিশ্চয় বিরিয়ানি, পোলাও, কোরমা কিংবা ভাত, রুটি, সবজি, ডাল, ফলমূ’ল আরও কত কী?
তবে জানেন কি এমনও কেউ আছে যে কিনা কাপড় কাঁচা বা গায়ে মাখা সাবান নি’য়মিত খাচ্ছেন! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন!
এমনই কাণ্ড ৩৩ বছর ধরে ঘটিয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। ময়মনসিংহ জে’লার নান্দাইল উপজে’লার দত্তপুর গ্রামের আবদুল করিম সাবান খাচ্ছেন ৩৩ বছর ধরে। এই ব্যক্তি ১৯৮৭ সালে জ’ন্মগ্রহণ করেন।
তার খাদ্যের তালিকায় প্রতিদিনের জন্য চাই সাতটা করে সাবান! ভাবতেই অবাক লাগে, মানুষ যেখানে সাবানের ফেনা মুখে গেলেই কম করে হলেও দুই, তিন বার মুখে পানি ঢেলে মুখ পরিষ্কার করে সেখানে আবদুল করিম সাবান খাচ্ছেন নি’য়মিত।
গোসল করার সময় সাবানের গন্ধ ভালো লাগায় তার সাবান খাওয়ার যাত্রা শুরু হয়। প্রথম প্রথম গোসলের সময় সাবানের ফেনা খেতেন। তারপর একদিন নিজের ই’চ্ছায় মনের উপর জো’র করে তার সাবান খাওয়া।
সাবান খেয়ে সেদিন ভালো লাগায় আর অন্য কোনো খাবার নয়। প্রতিদিন বেড়েই চলে তার সাবানের সংখ্যা। আগে অর্ধেকটা সাবান হলেই চলে যেত, এখন দিনে লাগে সাতটা। তবে সব সাবান তিনি খান না।
আবদুল করিমের কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোট একটি খাবারের দোকান আছে। ওই দোকানে বসেই সাবান খান তিনি। তবে তিনি সাবান খান গোসল করার আগে।
সাবান খাওয়ার এই দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরেই করিম সাবান খান তা এলাকার সবাই জানে আর এর ফলে আবদুল করিম সবার কাছে অতি পরিচিত।
পাশের চা বিক্রেতা নূরজাহান বলেন, ঘ’টনাটি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। তবে তার এ ধরনের সাহসের জন্য তাকে পুরষ্কৃত করা উচিত। আবদুল করিমের ২ ছেলে আল-মামুন, আল-মাসুদ এবং এক মেয়ের নাম শাহা’না।
তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বাবার বাড়ি জামালপুরে। বেশ কিছুদিন আবদুল করিম সেখানেই ছিলেন। এখন নিজ এলাকায় খাবারের একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
আবদুল করিমের স্ত্রী আনোয়ারা বলেন, প্রথম প্রথম বি’পদ হবে এই আ’শঙ্কায় সাবান না খাওয়ার জন্য বলতাম। ডাক্তারও তাকে সাবান খেতে নি’ষেধ করেছিল কিন্তু কার নি’ষেধ কে শোনে!
তিনি সাবান খাওয়া বন্ধ করেননি। আর এই সাবান খাওয়া যতদিন বাঁচবেন চালিয়ে যাবেন। এখন এটি তার সয়ে গেছে।
আবদুল করিম বলেন, সাবান না খেলে ভালা লাগে না। পায়খানাও পরিষ্কার হয় না। মোট কথা শান্তি পাই না। সকাল-সন্ধ্যায় এলাইফব’য়সহ বিভিন্ন সাবান খান তিনি। সাবান না হলে তার একদম চলে না।