গতকাল মঙ্গলবার এক এফ এম অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে বলা হয়, কোথায় সিনেমার উপর ডক্টরেট করা যায়? এই প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে অপু বিশ্বাস উত্তর দিলেন, ‘আমাদের এক পরিচিত আর্টিস্টের কাছে গেলে।’ লুকিয়ে বিয়ে করাটা কী রং ডিসিশন ছিলো? এবার অপু উত্তর দিলেন, ‘ছোট ছিলাম তো। ইমোশনালি করে ফে’লেছিলাম।’
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিয়ের সময় আপনি তখন কত ছিলেন? জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘তখন আমার ১৭ বছর ব’য়স ছিলো। ওই ডিসিশানটাকে আর রংও বলিনা পজেটিভও বলি না’
এ সময় নিজের ফি’টনেসের র’হস্যও জানিয়েছেন অপু। অপু বলেন, ‘ট্রাই করছি।’ জানালেন এখন তার ওজন ৭২ কেজি। অপু জীবনে কখনো ঠকেছেন কী না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানালেন, জীবনে একবারই ঠকেছেন অপু।
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বগুড়ার দই নাকি অপু বিশ্বাস কোনটা বেশি ফেমাস? অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বগুড়ার দই বেশি জনপ্রিয়। কারণ এটার কোনো দুর্নাম নেই।’
আর এভাবেই একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। সম্প্রতি টিকটক নামের অনুষ্ঠানে মজার মজার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও অপু বিশ্বাস এক প্রশ্নের উত্তরে জানালেন জীবনে ভালো থাকতে তিনটি জিনিস ভীষণ প্রয়োজন। এগুলো হলো, মা’নসিকভাবে নিজেকে সবসময় শ’ক্ত রাখা। পরিবার। আর নিজের কনফিডেন্স।
এ সময় বাজারে পেঁয়াজের দাম কতো? অপু বললেন, ‘আমি সকালে আমার ছেলের জন্য পেঁয়াজ কিনেছি। ১০০ টাকা কেজি।’ শাকিবের স’ঙ্গে বিয়ে করার সময় কী ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়েছিলো? অপু জানালেন, ‘পরিবর্তন করতে হয়নি। কিন্তু তাদের ধর্মটাকে সম্মান করতে হয়েছিলো।’
মে’য়েকে ফিরে পেতে ‘তওবা’ করে অভিনয় ছেড়ে ধর্ম চর্চায় মন দেন শাবানা
নায়িকা শাবানা। ১৯৯৭ সালে প্রথম অ’ভিনয় ছেড়েছেন তিনি। অনেকেই এখনো জানেন না কেন অ’ভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। হয়ত ভেবেছেন,
আগের মত ছবি হিট হচ্ছে না শাবানার অথবা বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন তিনি অথবা কেউ নিচ্ছিলেন না তাকে? এই ধরণের ভাবা আসলেই বেশ স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, এর একটি কারণেও সিনেমা ছাড়েননি শাবানা। তাহলে কেন সিনেমা ছেড়েছেন তিনি? এক জীবনে শাবানা যত
নাম, যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি যা কিছুই অর্জন করেছেন সবটুকুই তার অ’ভিনয় আর চলচ্চিত্রের কারণে। তবে হঠাৎ কেন তিনি নিজেকে এইভাবে আড়াল করে ফেললেন? এতদিন পরে এসে শাবানার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে সেই উত্তর। শাবানা নাকি কেবল অ’ভিনয়ই ছাড়েননি, রীতিমত ‘তওবা’ করেছিলেন। ওই সময়
হঠাৎ তার আ’মেরিকা প্রবাসী মে’য়েকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তিনি মনে মনে মানত করেন, মে’য়েকে যদি ফিরে পান, তাহলে জীবনে আর কখনো অ’ভিনয় করবেন না, এই জগৎ ছেড়ে দিয়ে ধ’র্ম চর্চায় মন দিবেন। মে’য়েকে ফিরে পেয়ে তিনি অ’ভিনয়,
চলচ্চিত্র এবং দেশ ছাড়েন। স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন আ’মেরিকায়। যে স’ন্তানদের জন্য শাবানা অ’ভিনয়জীবন ছাড়লেন তারা এখন পরিণত ব’য়সের অধিকারী।
পাট চুকিয়েছেন পড়াশোনার। বড় মে’য়ে সুমী ইকবাল এমবিএ করেছেন। বিয়ে করে এখন সে পুরোদস্তুর গৃহিণী। ছোট মে’য়ে ঊর্মি সাদিক হার্ভা’র্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি
করেছেন। ছে’লে নাহিন সাদিক রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে চাকরি করছেন। সূত্র: দৈনিক ভোরের পাতা